দেবাশীষ পাল ( মালদা ) : -হরিশ্চন্দ্রপুর এর বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার নতুন নাটক।ভুয়া বেনেফিশিয়ারি লিস্ট তৈরি করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে এবারে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও কর্মধ্যক্ষ এবং বিরোধী দলের নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিশ প্রশাসন। যদিও বিরোধী দলনেত্রী বর্তমানে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।কিছুদিন আগেই বড়ই এলাকার মোবারক পুর অঞ্চল থেকে শাসক দলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েতের মেম্বারকে একই অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।তার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার হয় আরো চারজন ভুয়া বেনেফিশিয়ারি। প্রত্যেকের নামে মামলা রুজু করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।আরো কিছুদিন আগে বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনামণি সাহার বিরুদ্ধে এফআইআর করেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু।যদিও প্রধান সোনামণি এখনো পলাতক।এদিকে নতুন করে শাসকদলের তিনজনের পদাধিকারীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ দায়ের হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার নতুন মোড় নিয়েছে।দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ বন্যাত্রানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কোয়েল দাস,শিশু,নারী ও ত্রাণ কর্মাধ্যক্ষ রৌশনারা খাতুন ও বিরোধী দলনেত্রী সুজাতা সাহার নামে এফআইআর করা হলেও তাদের সঙ্গে আরও অনেকেই রয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।একইসঙ্গে বিরোধী দলনেত্রীর বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। যদিও বোর্ড গঠনের সময় থেকেই বিরোধী কংগ্রেস দলনেত্রী শাসকদলেই রয়েছেন।সভাপতি কোয়েল দাস ও বাকিদের মোবাইল ফোন বন্ধ। তবে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস বলেন, দল দুর্নীতি সমর্থন করে না। আইন আইনের পথেই চলবে। ২০১৭ সালে এলাকায় ভয়াবহ বন্যা হয়। বন্যায় অনেকের আংশিক ও বহু বাসিন্দার ঘরদোর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়! এরপর রাজ্য সরকারের তরফে আংশিক ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৩৩০০ টাকা ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ৭০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত উপভোক্তাদের অনেকেই টাকা পাননি বলে তারা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনমাফিক পদক্ষেপ করা হবে।
চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় বলেন, তদন্তের পর প্রশাসনের তরফে এফআইআর করা হয়েছে। বাকিটা পুলিশ দেখবে।